ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর বিবৃতির জবাবে এই নির্দেশনা দিয়েছেন পুতিন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এবারের মহড়ায় যুদ্ধ প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার প্রস্তুতি ও মোতায়েনের বিষয় থাকবে। পশ্চিমা কিছু কর্মকর্তার উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুমকির পর এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে।
দীর্ঘ দিন ধরে ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্প্রতি পশ্চিমা কয়েকটি দেশের নেতাদের হুমকি-ধমকির জেরে এই উত্তেজনার পারদ আরও বেড়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এসব হুমকি মোকাবিলায় পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মহড়া পরিচালনার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। শীর্ষ ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনকে আরও বেশি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মস্কো।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানান, কিয়েভ অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। তার এমন ঘোষণার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার ভেতরে হামলার কাজে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বধীন ন্যাটো জোটের দুই দেশের নেতার এমন বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি মস্কো। রুশ কর্মকর্তারা এই বক্তব্যের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পাল্টা জবাব দেওয়ার হুমকি দেন।

0 মন্তব্যসমূহ