এদিনও মায়ামি ধীরগতির খেলা নিয়ে শুরু করেছিল মন্ট্রিলের বিপক্ষে। সেটিকে কাজে লাগিয়েই মন্ট্রিল ২২ এবং ৩২ মিনিটে পরপর লিড নেয়। তাদের হয়ে পরপর দুবার স্বাগতিকদের আনন্দে মাতান ব্রাইস ডিউক ও জুলসন অ্যান্থনি। এরপর অবশ্য বিরতির আগেই তারা তৃতীয় গোলও পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু রেফারির কাছে করা তাদের একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ হয়ে যায়। উল্টো তাদের মতোই পরপর দুই গোল করে সমতায় ফেরে মায়ামি।
তবে তার আগে জেরার্দো টাটা মার্টিনোর দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বাঁ হাঁটুতে চাট পান মেসি। অবশ্য দুই মিনিট পরই তিনি আবার মাঠে ফেরেন। ৪২তম মিনিটে কর্নার থেকে নিচু হয়ে আসা বলে মায়ামির ব্যবধান কমান মাতিয়াস। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে তারা সমতায় ফেরে সুয়ারেজের। খুব কাছ থেকে নেওয়া শটে উরুগুইয়ান তারকা লিগে নিজের ১১তম গোলটি করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে দাপট নিয়ে খেলতে শুরু করে মায়ামি। তার কল্যাণে তারা খুব দ্রুত সাফল্যও পেয়ে যায়। ৫৯ মিনিটে মাতিয়াসের বাড়ানো বলে ক্রেমাশ্চি গোল করে মায়ামিকে লিড এনে দেন। মেসিও স্কোরবোর্ডে নাম তোলার চেষ্টায় ছিলেন, তার নেওয়া শট ফিরিয়ে হতাশা উপহার দেন প্রতিপক্ষ গোলকিপার। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় মায়ামি ৩-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এ জয়ে এমএলএসে ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করল মায়ামি। ১৩ ম্যাচে মেসিদের পয়েন্ট ২৭। দুইয়ে থাকা এফসি সিনসিনাটি এক ম্যাচ কম খেলে ২৪ পয়েন্ট পেয়েছে। পরবর্তী ম্যাচে বুধবার ওরল্যান্ডে সিটির বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি।
সূত্র - ঢাকা পোস্ট
0 মন্তব্যসমূহ